মঞ্চের বারান্দায় ভাষণবেদীতে দাঁড়ানো প্রেসিডেন্ট বাইডেন, তাঁর পাশে আসনে বসা মানুষজন (এপি ফটো/প্যার্ট্রিক সেম্যানস্কি, পুল)
২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে দেয়া অভিষেক ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাথে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। (এপি ফটো/প্যাট্রিক সেম্যানস্কি, পুল)

বিশ্বের সবচেয়ে জরুরী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাথে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

২০ জানুয়ারি দেয়া অভিষেক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী। তিনি জাতিকে আমাদের অনন্য আমেরিকান পন্থা, যথা বিরামহীন, জোরদার ও আশাবাদী হয়ে সামনে দৃষ্টি দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন।”

বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, যেমন কোভিড-১৯ মহামারী ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবেলায় বাইডেন দেশের মধ্যে ঐক্য এবং অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “শান্তি, প্রগতি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র হবে একটি শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত সহযোগী।”

বক্তৃতা দানের পর ধারাবাহিক কিছু কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাইডেন উক্ত সমস্যাগুলো নিরসনে কাজ শুরু করেন যার মধ্যে রয়েছে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে পুনরায় যোগদান এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’য় আমেরিকার প্রতিশ্রুতি নবায়ন।

বাইডেনের অভিষেক ভাষণের উল্লেখযোগ্য অংশগুলো নিম্নরূপ:

অতএব, আমাদের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সবার জন্য এটাই আমার বার্তা। আমেরিকার পরীক্ষা হয়েছে এবং সে পরীক্ষায় আমরা আরো শক্তি নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমরা আমাদের মৈত্রীকে  পুনরুদ্ধার  করবো এবং আবার সারা বিশ্বের সাথে সম্পৃক্ত হবো। বিগত দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নয়, বরং আজ ও আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো। আর আমরা শুধু আমাদের শক্তির দৃষ্টান্ত দ্বারা চালিত হবো না, বরং আমাদের দৃষ্টান্তের শক্তি দিয়ে চালিত হবো। শান্তি, প্রগতি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় আমরা হবো শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত সহযোগী।

“আমরা আমাদের মৈত্রীকে পুনরুদ্ধার করবোএবং আবার সারা বিশ্বের সাথে সম্পৃক্ত হবো।” – প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর. বাইডেন

“আজ আমরা কোন প্রার্থীর বিজয় উদযাপন করছি না বরং আমরা বিশেষ কারণ উদযাপন করছি, আর সে কারণটা হলো গণতন্ত্র।”

ইতিহাস, আস্থা ও যুক্তি আমাদেরকে পথ দেখাবে, ঐক্যের পথ। আমরা একে অপরকে আমাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে না দেখে বরং প্রতিবেশী হিসাবে দেখতে পারি। আমরা একে অপরের প্রতি মর্যাদাপূর্ণ ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করতে পারি।

“আমেরিকায় যখনই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছি, আমরা কোনদিন কখনোই বিফল হইনি।”

“এটা হোক সেই গল্প যা আমাদের পরিচালিত করবে, সেই গল্প যা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। সেই গল্প যা অনাগত ভবিষ্যতকে বলে দেবে যে, আমরা ইতিহাসের আহবানে সাড়া দিয়েছি। আমরা সেই মুহূর্তের দেখা পেয়েছি। আমাদের চোখের সামনে গণতন্ত্র ও আশা এবং সত্য ও ন্যায়বিচারের মৃত্যু হয়নি বরং আরো বিকশিত হয়েছে। আমেরিকা নিজ দেশে স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং সারা বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্যই আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের কাছে ঋণী, আমরা একে অপরের কাছে এবং পরবর্তী প্রজন্মও একইভাবে ঋণী থাকবে।”

“এটা সাহসিকতার সময়, কেননা বহু কিছু করার রয়েছে।”