(স্টেট ডিপার্টমেন্ট/ ড থম্পসন)

গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো নির্বিশেষে সব নাগরিকের ভোট  দেয়ার ক্ষমতা নিশ্চিত করা  । বিরাট এবং বৈচিত্রপূর্ণ জনসংখ্যার দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সার্বক্ষণিক নিরন্তর চেষ্টা চালাতে হয়, যাতে উপযুক্ত ভোটারের ভোট দেওয়ার পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে।

এর মধ্যে প্রতিবন্ধী আমেরিকানদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অন্তর্ভুক্ত।

অ্যাডভোকেসি সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব পিপল উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ-এর প্রেসিডেন্ট হেলেনা বারজারের হিসাব অনুযায়ী, ২০১২ সালের নির্বাচনে  ১ কোটি ৫৬ লক্ষ প্রতিবন্ধী আমেরিকান ব্যক্তি ভোট প্রদান করেছে। তিনি বলেন, এই সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্রে ল্যাটিনো এবং এশিয়ান ভোটারের সমষ্টিগত যোগফলের চেয়ে বেশি।

বারজারের সমিতির আরইভিইউপি নামে একটি কর্মসূচি আছে, যার লক্ষ্য বেশি সংখ্যক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করা। তিনি বলেন, “যারা পদের জন্য ভোটে লড়ছেন, আমরা তাদেরকে বলছি, ‘প্রতিবন্ধীদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমস্যাগুলির ব্যাপারে আপনাদের মনোযোগ, সমর্থন ও প্রচারণা আশা করছি ।আপনারা তা করলে আমাদের ভোট পাবেন এবং আমাদের ভোট ফলাফল অনেক কিছু বদলে  দিতে পারে।“

প্রতিবন্ধী আমেরিকান ব্যক্তিদের ভোটের অধিকার সুরক্ষায় বেশ কিছু আইন আছে:

  • ১৯৮৪ সালের বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোট প্রদান অভিগম্যতা আইনে বলা আছে, ফেডারেল নির্বাচনে ব্যবহৃত সকল ভোট দানের স্থান প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও বয়স্কদের কাছে অভিগম্য হতে হবে নতুবা ভোট প্রদানের বিকল্প উপায় অবশ্যই করে দিতে হবে।
  • ১৯৯০ সালের আমেরিকানস উইথ ডিজ্যাবিলিটিজ অ্যাক্টেও (এডিএ) ভোটদান কেন্দ্রগুলোয় পার্কিং, গাড়ি করে যাওয়ার সুবিধা ও প্রবেশপথ থাকার বাধ্যবাধ্যকতা দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোকে এডিএ নীতিমালা অনুসরণে সহায়তা করতে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট একটি চেকলিস্ট সরবরাহ করে।
  • ১৯৯৩ সালের ন্যাশনাল ভোটার রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেসব কার্যালয়ে সরকারি সহায়তা নিতে চান, সেগুলোই তাদেরকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করতে পারবে।
  • ভোটদান কেন্দ্রগুলো যাতে স্বল্প দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বৃহদায়তন প্রিন্ট পর্দা ও ব্যালট, অন্ধদের জন্য ব্রেইল এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য দোভাষীর মতো ভোটদানে সহায়ক উপকরণ নিশ্চিত করতে পারে, সে জন্য ২০০২ সালের হেল্প আমেরিকা ভোট অ্যাক্ট যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ৫৭টি “সুরক্ষা এবং অ্যাডভোকেসি” সংস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে।

প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ও অ্যাডভোকেসি সংস্থাগুলোর সদস্য সংগঠন ন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি রাইটস নেটওয়ার্কের মিশেল বিশপ বলেন, হালনাগাদকৃত ভোটিং মেশিনের সামর্থ্য অনুধাবন ভোটার এবং ভোট কর্মীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  বিষয়। তিনি বলেন, “নির্বাচনের দিন সবকিছু কিভাবে নিরুপদ্রবে চলবে, তা নির্ধারণে ভোটার ও ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।“

বিশপ বলেন, “নির্বাচনের দিন ভোটদান কেন্দ্রে যাওয়ার  প্রথাগত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারা আমেরিকানদের জন্য এখনও  অনেক তাৎপর্যপূর্ণ । এটি আমেরিকান হতে পারার বড় একটি অংশ।“