এক নারী ক্যাডেট আরও অনেকের সঙ্গে ক্যাপ ছুড়ে দিচ্ছেন আকাশে। (স্যু ফুলটনের সৌজন্যে)
১৯৮০ এর দশকে সামরিক একাডেমি থেকে পাস করার আনন্দ উদযাপনের সময় সতীর্থদের সঙ্গে মাথার ক্যাপ শূন্যে ছুড়ছেন স্যু ফুলটন (স্যু ফুলটনের সৌজন্যে)

এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী একাডেমি, নৌবাহিনী একাডেমি এবং যুক্তরাষ্ট্র সামরিক একাডেমি, ওয়েস্ট পয়েন্টে ভর্তি হওয়া প্রথম নারী ব্যাচের পাস করার ৪০তম বার্ষিকী।

১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড আর ফোর্ড পাবলিক ল’ ৯৪-১০৬ এ স্বাক্ষর করেছিলেন। এর মাধ্যমে ততদিন পর্যন্ত শুধু পুরুষদের জন্য থাকা সামরিক কলেজগুলোতে নারীদেরও ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের প্রথম ব্যাচটির ক্লাস শুরু হয় ১৯৭৬ সালের গ্রীষ্মে। তাদের কোর্স শেষ হয়েছিল ১৯৮০ সালের বসন্তে।

মহিলার হাসি ক্লোজআপ (স্যু ফুল্টনের সৌজন্যে)
২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা  স্যু ফুলটনকে ওয়েস্ট পয়েন্ট বোর্ড অব ভিজিটরস-এ নিয়োগ দেন।
(সৌজন্যে: স্যু ফুল্টন)

স্যু ফুলটন তাদেরই একজন।

ফুলটন বলছিলেন, “ওয়েস্ট পয়েন্টের চ্যালেঞ্জটা আমার কাছে ছিল খুবই উত্তেজনাকর। এমন একটা স্তরে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার ব্যাপার ছিল যা আমি কখনো কল্পনাও করিনি।… দেশের সেবা করার ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা ছিল খুব আদর্শভিত্তিক। আর তাই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি যেন হাওয়ায় ভাসছিলাম।”

একাডেমি থেকে পাস করে স্যু ফুলটন সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসাবে কমিশন লাভ করেন। জার্মানিতে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। সেনাবাহিনীতে আট বছর দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৮৬ সালে সক্রিয় দায়িত্ব ছেড়ে দেন  তিনি  ।কারণ তৎকালীন সামরিক বিধিতে ঘোষিত সমকামী হিসাবে কাজ করার অনুমতি ছিলনা।

স্যু ফুলটন বলেন, ” গ্র্যাজুয়েশনের দিনটি এতই গভীরভাবে নাড়াদেওয়া, অম্লমধুর আর আবেগে ভরা ছিল যে আমি বহু বছর ধরে এটা নিয়ে বেশি ভাবতেও পারিনি। কারণ স্মৃতিটা নিয়ে ভাবতে গেলেও আমার যেন কেমন লাগতো।…এ আবেগের কারণ হচ্ছে, নিজে পারবো বলে কখনোই ভাবিনি এমন সব কাজ করতে পেরেছিলাম। তবে তার চেয়ে বড় কথা সম্ভবত প্রায় অবচেতনে থাকা এ অনুভূতিটাই যে, বিশ্বকে বদলে দিয়েছিলাম আমরা ।”