
বড়দিনের সময় দানের মহাত্মকে উদযাপন করতে প্রতি বছরের মতো এবারও আমেরিকানরা হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন। এই সংস্কৃতি গিভিং টিউজডে নামে পরিচিত। বিভিন্ন দাতব্য কর্মকাণ্ডের হিসাব রাখে এমন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বছর ২৯ নভেম্বর এই দিনটি পালন করা হয়। অর্থ বা বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে এবং স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এতে অংশ নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোটি ৭০ লাখের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। দাতব্য কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করার জন্য ২০১২ সাল থেকে এই প্রথা চালু হয়। থ্যাংকসগিভিংয়ের পর প্রথম মঙ্গলবার এটি উদযাপন করা হয়।
““কারো মুখে হাসি ফোটানো, কোনো প্রতিবেশীকে সাহায্য করা, বা কোনো ইস্যুতে বা প্রিয় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো- অবদান রাখতে আমাদের সবারই কিছু না কিছু করার আছে,” টুইটে এমনটি বলেছে নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন গিভিং টিউজডে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে কঠিন সময়ে থাকা সত্ত্বেও এ বছর আমেরিকানরা ৩.১ বিলিয়ন ডলার দান করে রেকর্ড করেছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ১৫ শতাংশ এবং ২০২০ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
উদারতাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য নিউইয়র্কে যাত্রা শুরু করা অলাভজনক সংগঠন গিভিং টিউজডে এখন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দাতব্য অনুদান ও স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে। সংগঠনটি ৮৫টি দেশে জাতীয়ভাবে প্রচার-প্রচারণার আয়োজন করে এবং বিশ্বের প্রতিটি দেশের মানুষ এখন এই গিভিং টিউজডে অংশগ্রহণ করে বলে জানিয়েছে অলাভজনক সংগঠনটি।
২০২২ সালে, একটি অনলাইন উৎসবের আয়োজন করেছিল গিভিং টিউজডে ইউক্রেন, যেখানে ১০০০ মানুষ বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের সংগঠনকে উৎসাহ যুগিয়েছে বা তাদের জন্য দান করেছে। গ্রুপটির পাকিস্তান শাখার কয়েক ডজন স্বেচ্ছাসেবী বন্যা-দুর্গত অঞ্চলগুলোর কমিউনিটিতে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে।
“যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া #গিভিংটিউজডে এখন পরিণত হয়েছে ক্রমবর্ধমান একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে,” ২৯ নভেম্বর এক টুইটে বলেছেন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। “আজ আমরা সবাইকে, সব জায়গায় উৎসাহিত করি এই আন্দোলনটি ধরে রাখার জন্য এবং সেসব দাতব্য সংগঠনে দান করার জন্য, যারা বিশ্বজুড়ে দারুন সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।”