প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে বিশ্বনেতা যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে আন্তর্জাতিক সহযোগী ও অংশীদারদের সাথে একত্রিতভাবে কাজ করছে।
হোয়াইট হাউজ গতবছরের ১৫ অক্টোবর প্রথমবারের মতো একটি জাতীয় কৌশলপত্র “ন্যাশনাল স্ট্র্যাটিজি ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস” প্রকাশ করেছে; যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে কমপিউটার প্রযুক্তি এবং মহাকাশ প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বৈশ্বিক উদ্ভাবনকে সহায়তা ও নেতৃত্ব দেবে তার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
কৌশলপত্রে বলা হয়েছে “যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নেতৃত্ব বজায় রাখবে এবং সহযোগী ও অংশীদারদের এই উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে।”
কৌশলপত্রে আরো বলা হয়েছে যে, কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মোড়ল হওয়ার লক্ষ্যে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সম্পদে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও সহযোগীদের শক্তির উত্সগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই কৌশলপত্র তৈরি করেছে। এতে কর্তৃত্ববাদী সরকারসমূহ, যারা মুক্ত বিশ্বে তৈরি হওয়া বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদকে অবৈধভাবে আয়ত্ত করে, তাদের কবল থেকে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে রক্ষা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
“যুক্তরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোর কৌশলকে উপেক্ষা করবে না, যারা একাধারে প্রযুক্তি চুরি করছে, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ হস্তান্তরে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করছে, অবাধ ও ন্যায্য বাজার ব্যবস্থাকে দুর্বল করছে, এবং গোপনে নতুন বেসামরিক প্রযুক্তিকে তাদের সামরিক শক্তিকে জোরদার করার কাজে ব্যবহার করছে।” — হোয়াইট হাউজ।
কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ও নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দু’টি স্তম্ভের উপর আলোকপাত করা হয়েছে:
১. জাতীয় নিরাপত্তায় উদ্ভাবনের ভিত্তি জোরদারকরণ — যাতে শিক্ষায়, জাতীয় ল্যাবগুলোতে ও বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে সহায়তা করা যায়।
২. প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলোর সুরক্ষা — যাতে কৌশলগত প্রতিযোগীদের অন্যায্য সুবিধা লাভ প্রতিরোধ করা যায়।
কৌশলের প্রতিটি স্তম্ভ বাস্তবায়নে সংবেদনশীল প্রযুক্তির সুরক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সহায়তা ও সমর্থন করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনের বাজারভিত্তিক কর্মপদ্ধতির প্রশংসা করা হয়েছে। কারণ এই পদ্ধতিতে নতুন ধারণাকে উত্সাহিত করা হয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে শক্তিশালী জনশক্তি গড়ে তুলতে বেসরকারি খাতের সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, ও বিধিমালা হ্রাস করার জন্য বেসরকারি খাতের সাথে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করার সুযোগ করে দেয়া হয়।
কৌশলপত্রে আরো বলা হয়েছে “আমাদের বাজারমুখী দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্র-নির্দেশিত মডেলগুলোর বিরুদ্ধে আমাদেরকে জয়ী করবে। কারণ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মডেলগুলো বর্জ্য উত্পাদন করে এবং উদ্ভাবনকে নিরুত্সাহিত করে।”
“যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও অংশীদার যারা একই ধরনের সাধারণ উম্মুক্ত, গণতান্ত্রিক ও বাজারমুখী মূল্যবোধ ধারণ করে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে (গুরুত্বপূর্ণ ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে) বিশ্বের নেতৃত্ব অব্যাহত রাখবে।”