
নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরিতে (জেপিএল) কফি খেতে খেতে করা একটি বৈঠকের বদৌলতেই বাস্তবে রূপ নিয়েছে কোভিড -১৯ রোগীদের জন্য তৈরি করা একটি ভেন্টিলেটর প্রোটোটাইপ। কথাটা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
মেকানিকাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড ভ্যান বিউরেন এবং জেপিএল-এর প্রধান প্রকৌশলী রব ম্যানিং গত ১১ মার্চ কফির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় কথা বলছিলেন কোভিড -১৯ মহামারি নিয়ে। কীভাবে এ সঙ্কটে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করছিলেন তারা। ১৭ মার্চ টেলিওয়ার্কিং এর ওপর বিধিনিষেধ জারি হওয়ার আগের কথা সেটা।
‘রবের সঙ্গে কথা বলার পরে আমি আমার ডেস্কে ফিরে যাই। প্রশ্নটা তখনও আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, বলেছিলেন ভ্যান বিউরেন। ‘মনে হচ্ছিল,আমাদের এখানে তো অসাধারণ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিভা আর সক্ষমতা আছে। আগামীতে ভেন্টিলেটরের সম্ভাব্য ঘাটতি পূরণে কীভাবে সাহায্য করতে পারি?’

এর ঠিক মাত্র ৩৭ দিন পরে, ৫০ জনেরও বেশি মানুষের একটি দল –(কয়েকজন জেপিএলে থেকে কাজ করলেও বেশিরভাগই বাড়ি থেকে) ‘ভিআইএটিএল বা ‘ভিটাল’ নামে একটি যন্ত্রের নকশা, নির্মাণ এবং পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করেন। ‘ভিআইএটিএল’ এর পুরো রূপ হচ্ছে ‘ভেন্টিলেটর ইন্টারভেনশন টেকনোলজি অ্যাকসিসেবল লোকালি’। এটি একটি শ্বাসপ্রশ্বাসে সহায়তাকারী যন্ত্র। নাসার মতে, এটি গুরুতর অসুস্থ কোভিড-১৯ রোগীদের সহায়তা করবে। এছাড়া হাসপাতালগুলোর প্রচলিত ভেন্টিলেটরের মজুদকেও করবে সমৃদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ভিআইটিএল প্রোটোটাইপটি অনুমোদন করেছে। অন্যদিকে জেপিএল নতুন ধরনের ভেন্টিলেটরটি তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের আটটি কোম্পানিকে বেছে নিয়েছে। ১০০ টিরও বেশি কোম্পানি এজন্য আবেদন করেছিল।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোর রোগীদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। এজন্য দেশটি কিছুসংখ্যক ভেন্টিলেটর অন্যান্য দেশে পাঠাতে পারবে।
