আমেরিকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। তারা পরিবেশ উন্নয়নে আগ্রহী এবং শক্তিশালী দূষণমুক্ত প্রযুক্তি খাতে চাকরির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের উপাত্তে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে এটি ক্রমাগতভাবে ঊর্দ্ধমুখী ছিলো। সর্বশেষ ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের সামগ্রিক উপাত্তে দেখা গেছে, মোট ৬,৬৯৭ জন শিক্ষার্থী পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অর্থাৎ পাঁচ বছর আগের তুলনায় অতিরিক্ত ১,১৫৫ জন শিক্ষার্থী এ ধরনের ডিগ্রি নিয়েছেন।
প্রবণতাটিকে সংখ্যাচিত্রে তুলে ধরেছে ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি ব্লুমিংটন’র পল এইচ ও’নিল স্কুল অফ পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাফেয়ার্স। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তাদের অগ্রাধিকার বিষয় ছিলো পরিবেশ সুরক্ষা। প্রতিষ্ঠানটি পুনঃচক্রায়ন (recycling) উৎসাহিত করে, সেন্সর-চালিত পানি রিফিল স্টেশন ব্যবহার করে, টেকসই ব্যবহার বিষয়ক কার্যক্রম থেকে বৃত্তি প্রদান করে এবং সম্পদের টেকসই ও সাশ্রয়ী ব্যবহারের জন্য লিড রেটিং সিস্টেমে “গোল্ড” হিসাবে সনদপ্রাপ্ত ভবনে তাদের স্নাতক কেন্দ্র পরিচালনা করে থাকে।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমের সহযোগী ডিন আর. জে. উডরিং প্রতিষ্ঠানের তিনটি প্রধান শিক্ষা বিষয় যথা পরিবেশ বিজ্ঞান, পরিবশগত ও টেকসই ব্যবহার বিদ্যা, এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা বিষয়গুলোতে বৃদ্ধি দেখছেন। উডরিং বলেন, ২০২০ সালের বসন্তকালের হিসাবে গত তিন বছরে মোট ৩৪১ জন শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করেছেন। চার বছর আগে এই সংখ্যা ছিলো ২০০।
উডরিং বলেন, “চারপাশে কী ঘটছে সে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বেশ সচেতন এবং সেগুলোর অন্যতম সমস্যা অবশ্যই পরিবেশ। তাঁরা তাঁদের নিজেদের ও সন্তানদের জন্য নির্মল বাতাস, সুপেয় পানি, সুন্দর পার্ক এবং প্রাকৃতিক সম্পদ নিশ্চিত করতে চায়।”
পরিবেশ বিজ্ঞান কার্যক্রমটি কঠোর যার আওতায় শিক্ষার্থীদের ভিত্তিমূলক কোর্স নেয়া আবশ্যক যেখানে ক্যালকুলাস, পরিসংখ্যান, রসায়ন, জৈব রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত। উডরিং বলেন, ২০২০ সালের শরৎকাল পর্যন্ত প্রধান বিষয় হিসাবে পরিবেশ বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ছিলো ৫৮ জন। আগের শরতে এই সংখ্যা ছিলো ৪৯ এবং ২০১৮ সালের শরতে ছিলো ৪০ জন।
এসকল স্নাতক শিক্ষার্থীদের স্নাতক পরবর্তী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ানা ডিপার্টমেন্ট অফ রিসোর্সেস’র জন্য কাজ করা অথবা পরীক্ষাগারের কাজ বা মাঠপর্যায়ের কাজের লক্ষ্য নিয়ে স্নাতকোত্তর অধ্যয়ন শুরু করা।
উডরিং বলেন, “পাশ করার পর তাঁদের ভালো চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে।”