সকলের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পেছনে বিনিয়োগ করছে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তারা জলবায়ু সংকট মোকাবেলা করছে, সরবরাহ শেকল যাচাই করে দেখছে সেখানে জবরদস্তিমূলক শ্রম আছে কিনা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করছে।
দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক চর্চা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা হালনাগাদ করছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। সারা বিশ্বের লোকেরা ৩১ মের মধ্যে তাদের পরামর্শ পাঠাতে পারেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রথম প্রকাশ হওয়া এ কর্মপরিকল্পনা বিদেশের মাটিতে আমেরিকান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে দায়িত্বশীল আচরণ করবে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়।
এ কর্মপরিকল্পনায় প্রতিফলিত হয়েছে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দীর্ঘদিনের সমর্থন। এসব আন্তর্জাতিক নীতি তুলে ধরা হয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণ বিষয়ে বহুজাতিক এন্টারপ্রাইজগুলোর প্রতি নির্দেশিকা এবং জাতিসংঘের ব্যবসা এবং মানবাধিকার বিষয়ক নীতি নির্দেশিকায়।
দায়িত্বশীল ব্যবসাকে এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টাকে জোরদার ও বিস্তৃত করতে সরকারের সব পর্যায়ে উদ্যোগের অংশ হিসেবে সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন ২০২১ সালের ১৬ জুন এ কর্মপরিকল্পনা হালনাগাদ করার ঘোষণা দেন।
ব্লিংকেন তখন বলেছিলেন, ‘মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনসহ গণতান্ত্রিক আদর্শগুলোর প্রতি গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন যোগাতে পারে ব্যবসা। এর ফলে মূল্য শিকলের বিভিন্ন পর্যায়ে মানবাধিকার লংঘন দূর করতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।’
পদক্ষেপের দাবি ভোক্তাদের
অর্থনৈতিক প্রসার, জ্বালানি এবং পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট জোসে ফেরনানদেস বলেন, ভোক্তাদের ক্রমাগত দাবি, পণ্য যাতে দায়িত্বশীল দায়িত্বশীল সরবরাহ শেকলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক চর্চাকে সহায়তা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর এক ব্লগ স্পটে ফেরনানদেস বলেন, “তাদের সকল কর্মকাণ্ড ও চর্চায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল আচরণের প্রয়োজনীয়তা আমি স্বীকার করি। ভালো আচরণের মধ্য দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজেদের উন্নতি করতে পারে।”
দায়িত্বশীল ব্যসায়িক আচরণের বুনিয়াদি নীতি:
- ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিক অগ্রগতিতে যেসব ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, সেগুলোতে গুরুত্ব দেয়া।
- ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের বিরূপ প্রভাব কমাতে কঠোর সতর্কতা এবং অপব্যবহারের প্রতিকারের অঙ্গীকার।
- দেশে এবং বিদেশে সরবরাহ শেকলের মধ্যে আইনি বাধ্যবাধকতার ব্যাপারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সচেতনতা এবং সেগুলো মেনে চলা নিশ্চিত করা।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেসব পন্থায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণে উৎসাহিত করছে, এই হালনাগাদকরণ সেগুলোর একটি। ১৯৯৯ সাল থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের অ্যাওয়ার্ড ফর করপোরেট এক্সেলেন্স যুক্তরাষ্ট্রের সেইসব কোম্পানিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, যারা বিদেশে ভালো কাজ করছে, এদের মধ্যে কৃষকদের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, লিঙ্গ-সমতার উন্নতি সাধন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় নিয়োজিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও আছে।
দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক চর্চা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা হালনাগাদের ব্যাপারে পরামর্শ দিতে ভিজিট করুন ইউএস ফেডারেল রেজিস্টার।