যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের অংশীদারত্বের জোট কোয়াড ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া ও সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

কোয়াডের সহযোগীরা ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে কোভিড-১৯ মহামারিজলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে সমুদ্রপথের নিরাপত্তা রক্ষা ও আইনের শাসনকে এগিয়ে নেওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোয়াড নেতৃবৃন্দের প্রথম বৈঠকে অংশ নেন গত ১২ মার্চ।  তার সঙ্গে বৈঠকে আরও যোগ দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

২৪ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে কোয়াড নেতাদের এক শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করেছেন জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, “ বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন কোয়াডকে উত্তরোত্তর এগিয়ে নেওয়াকে একটি অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছেন। কোয়াড নেতাদের বৈঠকের আয়োজন করা ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে সক্রিয় ভূমিকা রাখার ব্যাপারে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অগ্রাধিকারের বিষয়টিকেই তুলে ধরে। এই ভূমিকার মধ্যে থাকবে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নুতন বহুপাক্ষিক হিসাব নিকাশ ও সমন্বয়ের বিষয়টিও।”

ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় ২০০৪ সালের প্রচণ্ড ভূমিকম্প ও সুনামির পর এই চার গণতান্ত্রিক দেশের পরিচালিত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে জন্ম নেয় কোয়াড।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অংশীদার দেশগুলোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সমুদ্রপথের নিরাপত্তা, সাইবার বিষয়ক উদ্বেগ, মিথ্যা তথ্য মোকাবেলা, সন্ত্রাসবাদ দমন, উন্নয়ন সহায়তা এবং দুর্যোগে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত কোয়াড দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন “বার্মার (মিয়ানমারের) গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার আশু প্রয়োজন নিয়ে কথা বলেন।”

পথে বিক্ষোভ করছে নির্মাণকাজের হেলমেট পরা একদল প্রতিবাদকারী। তাদের মধ্যে দুজন জনগণ (‘পিপল’) লেখা ঢাল ধরে আছে। (ছবি: এপি ইমেজেস)
কোয়াডের নেতারা বার্মার (মিয়ানমারের) গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। দেশটিতে বিক্ষোভকারীরা ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ করে আসছে। (ছবি: এপি ইমেজেস)

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি গত অক্টোবরে বলেন, “আমরা চার সদস্য দেশ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মুক্তবাজার অর্থনীতির মতো অভিন্ন মৌলিক বিষয়গুলোতে বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজনীয় বিষয়। একটি বিধিবিধানভিত্তিক উন্মুক্ত ও স্বাধীন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জোরদার করার অভিন্ন লক্ষ্যও পোষণ করি আমরা।”

এই গল্পের একটি সংস্করণ গত ১২ই মার্চ প্রকাশিত হয়েছিল।