উপর থেকে দেখা পাহাড়ের পটভূমিতে গাছ-ভর্তি ক্যাম্পাসে বৃত্তাকার স্মৃতিসৌধ (© সঞ্জয় মাইকেল সুচাক/ইউভিএ টুডে)
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দাস শ্রমিকদের স্মরণে তৈরি করা নতুন স্মৃতিসৌধের উপর থেকে দেখা দৃশ্য (© সঞ্জয় মাইকেল সুচাক/ইউভিএ টুডে)

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, এর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত ৪,০০০ দাস শ্রমিকের সম্মানে ক্যাম্পাসে নির্মিত একটি স্মৃতিসৌধ সকলের জন্য উম্মোচন করার মধ্য দিয়ে অতীতকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলো।

দাস শ্রমিকদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের মাধ্যমে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ১৮১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৮৬৫ সালে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে দাস প্রথার বিলোপ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োজিত নারী, পুরুষ ও শিশুদের কাজের স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানিত করলো। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব স্মৃতিসৌধ নির্মাণের এই উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় সন্নিহিত শার্লিটসভিলে কমিউনিটির মানুষজন ও দাস শ্রমিকদের বংশধরেরা যুক্ত হয়েছিলেন।

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দাস শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ (© সঞ্জয় মাইকেল সুচাক/ইউভিএ টুডে)

বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ ও প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণের সেই সময়ে দাস শ্রমিকরা জমি পরিস্কার করা, খনি থেকে পাথর উত্তোলন ও পরিবহণ, কাঠ কাটা ও সেগুলো সাজিয়ে রাখা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রান্না করাসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছিলেন। তাদের অনেকের নাম যেহেতু রেকর্ডপত্রে তালিকাভুক্ত করা হয়নি, সে কারণে স্মৃতিসৌধে নাম না জানা দাস শ্রমিকদের কাজ ও পারিবারিক সম্পর্কের তালিকা দেখানো হয়েছে। তবে কারো কারো নাম যেমন, পাচকদের একজন ইসাবেলা গিবনস-এর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।

দাস শ্রমিকদের নামাঙ্কিত স্মৃতি সৌধের ক্লোজ-আপ দৃশ্য। নাম না জানা শ্রমিকদের কাজ ও পারিবারিক পরিচয় এখানে তুলে ধরা হয়েছে। (© সঞ্জয় মাইকেল সুচাক /ইউভিএ টুডে)

যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের লেখক টমাস জেফারসন ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ও ডিজাইন করেছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসের সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয় কিছু দাস শ্রমিকের মালিক ছিল, বাকি দাসদের তারা স্থানীয় দাস-মালিকদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিল এবং অন্তত একজন দাসের মালিক জেফারসন নিজে ছিলেন।

স্মৃতিসৌধটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বৈশিষ্ট্য রোটুন্ডা ভবনের খুব কাছে অবস্থিত এবং এই পথে শিক্ষার্থীরা সর্বদা চলাচল করে।

এই নিবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ২০ আগস্ট।