এটি আমেরিকান নাগরিকদের নিয়ে চার খণ্ডের রেকর্ডিং সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব। অন্যগুলো হলো সান্তার সহায়তাকারীর বংশধর, একজন দক্ষিণী মুদি এবং এক বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া চ্যাপলিনের কাহিনী।
গল্প কেবল ক্যাম্প ফায়ারের চারপাশে বসে বা বাচ্চাদের রাতে বিছানায় শুইয়ে দেওয়ার সময় বলার বিষয় নয়। অনেক সময় একটি সময় বা স্থানকে চিহ্নিত করা যায় গল্প দিয়ে। কখনো তা তুলে ধরে সর্বজনীন সত্যকেও।
এজন্যই বিভিন্ন দুঃখের গল্প, মজার গল্প এবং এমনকি হৃদয়কে নাড়া দেওয়া ভাবগম্ভীর গল্প সংরক্ষণ করে লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের ফোকলাইফ সেন্টার । এ লাইব্রেরির কথ্য ইতিহাসের সংগ্রহের সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। বিশ্বে মানব কণ্ঠের এটাই বৃহত্তম একক সংগ্রহ।
প্রকল্পটি রেডিও স্টেশনের প্রযোজক ডেভ আইসের মাথা থেকে এসেছে। ২০০৩ সালে তিনি এর নাম দেন স্টোরি কোর। স্টোরি কোর অনুদানের অর্থে চলা একটি স্বাধীন অলাভজনক সংস্থা।
দু’জন করে মানুষ প্রথমদিকে নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালের একটি রেকর্ডিং বুথে কথোপকথনের মাধ্যমে গল্পগুলো তুলে ধরতেন। প্রকল্পটি এখন আটলান্টা এবং শিকাগোতেও সাউন্ড বুথ এবং মোবাইল রেকর্ডিং ব্যবস্থা যোগ করেছে। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর স্টোরি কোর ফোন ও কম্পিউটার দিয়ে সাক্ষাত্কার নেওয়ার একটি নতুন ব্যবস্থার সূচনা করে যার মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ঘরবন্দি সময়ে আমেরিকানরা গল্প বলার একটা সুযোগ পান ।
স্টোরি কোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কলিন রস বলেন, ‘অন্যদের কাহিনি শোনার মাধ্যমে আমরা মানবতার অভিন্ন চিত্রটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি।…অন্যের কথা শোনা ভালোবাসারই একটা বহিঃপ্রকাশ। ক্রমেই তা হয়ে উঠছে মানুষে মানুষে মমতা ও সহানুভূতি গড়ে তোলার এক জরুরি কৌশল।
শেয়ারআমেরিকা আমাদের সবচেয়ে পছন্দের গল্পগুলো তুলে ধরছে।এর মধ্যে একটি হচ্ছে একটি ছেলের বাবার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা নিয়ে।
গাড়ি চালানো শেখা
ট্যাক্সি চালানোর পাশাপাশি আইন নিয়ে লেখাপড়া করেছেন মোহাম্মদ ফরিদি। তার বাবাও ট্যাক্সি চালাতেন। ছোটবেলায় বাবাকে তার ক্যাবটা সাফসুতরো রাখতে সাহায্য করতেন ফরিদি। তবে বড় হয়ে ট্যাক্সি চালানো নিয়ে মোহাম্মদ বেশ বিব্রত থাকতেন। একদিন ফরীদির বস তার বাবার কাজের মর্যাদা নিয়ে তার ভুলটা ভেঙে দিলেন।
স্টোরি কোরের সাক্ষাতকারে মোহাম্মদ ফরিদি আর তার বাবা মোহাম্মদ আশরাফ ফরিদি নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন।বাবা মোহাম্মদ আশরাফ ফরিদি ১৯৮০ এর দশকে পাকিস্তান থেকে অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।ছেলেকে আশরাফ বলেন, প্রথমদিকে তার একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে কষ্টের পথ চলা শেষ করে এখন সুখের মুখ দেখেছেন।