
যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আন্তর্জাতিক অংশীদাররা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত নিয়মনীতি ভিত্তিক ব্যবস্থার পক্ষে।
অক্টোবরে ‘কোয়াড’ মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল আর পম্পেও তিন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং ইন্দো-প্যাসিফিকে মৌলিক স্বাধীনতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেন। এর বিপরীতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) প্রতিবেশী দেশগুলোকে হুমকি দেওয়ার চিত্রও তুলে ধরেন তিনি।
পম্পেও টোকিওতে জাপান, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠককালে বলেন, “আমরা সবাই একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চাই এবং আমাদের আলোচনার লক্ষ্য তা অর্জন করা।” পম্পেও আরও বলেন, ‘‘এই কোয়াড’র অংশীদার হিসাবে আমাদের জনগণ ও সহযোগীদের সিসিপি’র শোষণ, দুর্নীতি ও জবরদস্তি থেকে রক্ষা করতে পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
সংশ্লিষ্ট চারটি গণতান্ত্রিক দেশের জ্যেষ্ঠ নেতারা সন্ত্রাসবাদ, সমুদ্রপথের নিরাপত্তা এবং সাইবার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশ্বাসযোগ্য পঞ্চম-প্রজন্মের (ফাইভ জি) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের ব্যবহার এগিয়ে নেওয়া ও কোভিড -১৯ মহামারী মোকাবেলার মতো বিষয়গুলো নিয়ে নিয়মিত পরামর্শ করেন।
পূর্ব এবং দক্ষিণ চীন সাগরে গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের উস্কানিমূলক আচরণের প্রেক্ষাপটে তারা নিয়মনীতি ভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতি এই প্রতিশ্রুতি উচ্চারণ করলেন। একাধিক দেশ জাতিসংঘের কাছে দক্ষিণ চীন সাগরে জলসীমা বিষয়ে চীনের অবৈধ দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছে।
‘কোয়াড’ মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের সময় এর সদস্যরা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোটভুক্ত (আসিয়ান) দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব এবং কোভিড -১৯ মহামারীর পরে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পক্ষে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগি সভায় বলেন,”আমরা এই চার দেশ গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মুক্ত অর্থনীতির মতো সাধারণ মৌলিক মূল্যবোধগুলোতে বিশ্বাসী।… আমরা একটি আঞ্চলিক দায়িত্ববোধ এবং নিয়মনীতি ভিত্তিক স্বাধীন ও উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত ব্যবস্থা জোরদার করার অভিন্ন লক্ষ্যে বিশ্বাস করি।’