
বিদেশের মাটিতে করোনাভাইরাস রোগ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইতে বর্তমান তহবিল থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ব্যয় করার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি সংক্রামক ব্যধির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপি লড়াইতে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত নেতৃত্বের পরিচায়ক।
৭ ফেব্রুয়ারি এই সহায়তার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল আর. পম্পেও বলেন, “আমেরিকার বেসরকারি খাতের উদারভাবে দান করা কোটি কোটি ডলারের পাশাপাশি এই অঙ্গীকার সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের শক্ত নেতৃত্বের পরিচায়ক।“
২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) ঘোষণা করে যে, তারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত অথবা এটির প্রাদুর্ভাবের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে এমন ২৫টি দেশে ৩৭ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে। এ অর্থ ব্যয় হবে গবেষণাগার শক্তিশালীকরণ প্রচেষ্টা, ঝুঁকি বিষয়ে যোগাযোগ এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, যেমন মুখোশ, দস্তানা ও গাউন বিতরণের পেছনে।

এই রোগ প্রথম সনাক্ত হয় চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে, তবে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় দেশটির অব্যাহত অঙ্গীকারের পরিচায়ক। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কৌশলে যেমনটা বলা হয়েছে, সংক্রামক ব্যধির হুমকি প্রতিরোধ, সনাক্ত করা এবং উৎসেই সেটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের সঙ্গে অংশীদার হবে।
কোভিড-১৯ এর মতো রোগসহ বৈশ্বিক মহামারী ও নতুন স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলা, সনাক্ত করা ও ব্যবস্থা নেওয়ায় সহায়তা করতে ইউএসএআইডি ২০০৯ সাল থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই অর্থায়নের পাশাপাশি কোভিড-১৯ এর বিস্তার প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠনগুলো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রজেক্ট হোপ-এর সূত্রমতে, হুবেই প্রদেশে আকাশচুম্বী চাহিদা মোকাবেলায় বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা সেখানে ২ মিলিয়ন শ্বাসপ্রশ্বাস মুখোশ, ১১,০০০ সুরক্ষা পোশাক এবং ২,৮০,০০০ জোড়া নাইট্রাইল দস্তানা অনুদান পাঠিয়েছে।
ইনোভিও এবং জনসন অ্যান্ড জনসন-সহ যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো টিকা তৈরির কাজে ব্যস্ত।