
মানুষের জীবনকে উন্নত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আবিষ্কারকেরা প্রযুক্তি উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছেন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্প্রতি নতুন প্রযুক্তির অগ্রদূত হিসাবে ১০০ জনের নাম ঘোষণা করেছে। তাঁদের ৪২ জন অর্থাৎ প্রায় অর্ধেকই যুক্তরাষ্ট্রের। তাঁদের আবিষ্কার মোটরগাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে জাহাজচালনা ও সাইবার নিরাপত্তা পর্যন্ত বিস্তৃত।
জেনেভা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইনোভেটরস কমিউনিটি’র প্রধান সুসান নেসবিট গত ১৬ জুনে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ বছরের প্রযুক্তি অগ্রদূতগণ সমাজের উন্নতি ঘটাচ্ছেন এবং বিশ্বজুড়ে তাঁদের শিল্পগুলোকে এগিয়ে নিচ্ছেন। এগুলো এমন কোম্পানি যারা ভিন্নভাবে চিন্তা করে এবং সম্ভাব্য যুগস্রষ্টা হিসাবে উঠে দাঁড়ায়।”
We are proud to announce the Technology Pioneers 2020 cohort! The new cohort brings together 100 early-stage companies from around the world. Please join us in welcoming these new Technology Pioneers! https://t.co/tNX65dRccv
— WEF Tech Pioneers (@techpioneers) June 16, 2020
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রযুক্তিগুলো যেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সূচনা করেছে:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই): ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আলটোস্থ মেটাওয়েভ গাড়িতে ব্যবহার্য সুরক্ষা সেন্সরগুলো উন্নত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে। স্যান ফ্র্যান্সিসকো ভিত্তিক ব্রাইটসিড বায়ো উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন মানব স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক রাসায়নিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’র সন্ধানে এআই প্রযুক্তি বিকাশে কাজ করছে।
পরিবেশগতভাবে টেকসই ভবিষ্যত: ম্যাসাচুসেটসের উওবার্ন ভিত্তিক বোস্টন মেটাল কার্বন নিঃসরণমুক্ত স্টিল উৎপাদনে কাজ করছে। ক্যালিফোর্নিয়ার প্লাজনটনে অবস্থিত এয়ার প্রোটিন সাধারণ প্রাণীজ প্রোটিন ও উদ্ভিজ্জ বিকল্প উৎপাদনের তুলনায় অতি সামান্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে মাংস উৎপাদন করছে।
২০০০ সালে চালু হওয়া টেকনোলজি পাইওনিয়ার প্রোগ্রাম সারা বিশ্বের বিভিন্ন নবীন কোম্পানিকে তুলে ধরছে যারা ব্যবসায় ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে সক্ষম এমন প্রযুক্তি বিকাশে কাজ করছে।