বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশী ব্যয়কারী দেশের স্থান অর্জন করেছে।
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশী ব্যয় করার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারগুলো নতুন করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মনোযোগী হয়েছে। গবেষণা ও উন্নয়ন কাজের সিংহভাগই পরিচালনা করে থাকে ব্যক্তি-মালিকানাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো, যাদের পরেই রয়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসমূহ।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটা, ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডো বোল্ডার এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা আবদ্ধ স্থানগুলোতে ভাইরাস সংক্রমণ কমিয়ে আনার বিভিন্ন পন্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। উদাহরণস্বরূপ, বিমানে এবং বিদ্যালয়, হাসপাতাল ও অন্যান্য পরিবেশে মানুষের কোন ক্ষতি না করে জীবাণু ধ্বংস করতে তাঁরা আলট্রাভায়োলেট আলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করছেন।
নিরাপদ ভ্রমণের ওপর বিশেষ মনোযোগ
ইন্ডিয়ানার পশ্চিম লাফায়েতে অবস্থিত পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্র প্রকৌশল অধ্যাপক কুইংইয়ান “ইয়ান” চেন

এবং তাঁর সহকর্মীরা মিলে বিমানে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার্য একটি শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন যার মাধ্যমে যাত্রীরা অন্যদের নিঃশ্বাস নির্গত বায়ু এড়িয়ে শ্বাস নিতে পারবেন।
আবদ্ধ স্থানে বায়ুর প্রবাহ এবং ভাইরাস বিস্তারের ধরন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চেন বলেন, এই ব্যবস্থায় আসনের নিচ থেকে যাত্রীদের শ্বাস প্রশ্বাসের আওতার মধ্যে বায়ু সঞ্চালন করা হয়। যাত্রীদের নিঃশ্বাস নির্গত উষ্ণ বায়ু ঊর্দ্ধমুখী হওয়ায় ছাদের দিক থেকে বের করে নেয়া হয়।
চেন ও তাঁর সহকর্মীরা মনে করেন এই ব্যবস্থা নিকটবর্তী যাত্রীদের নিকট কোভিড-১৯ পূর্ণ জলকণার সঞ্চালন সীমিত করবে এবং এই ব্যবস্থা বাস ট্রেন, সাবওয়ে, মুভি থিয়েটার বা স্থায়ী আসনযুক্ত যে কোন স্থানে ব্যবহার করা যাবে। ।
চেন বলেন, “আমি আশা করি ভবিষ্যতে সকল প্রকার যানবাহনেই HEPA [হাই এফিশিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার] ফিল্টার ব্যবস্থা এবং সেইসাথে পানি ও উপরিতল জীবাণুমুক্ত করা এবং বায়ু ও খাবারে থাকা অনুজীব ধ্বংসে UVC [আলট্রাভায়োলেট] আলো সজ্জিত থাকবে। প্রত্যেক যাত্রীর জন্য নির্মল ও বিশুদ্ধ বায়ু সংস্থানে যানবাহনগুলোতে আধুনিক শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা থাকবে।”
ভ্রমণকারীদের জন্য আজকের পরামর্শ
চেন’র মতে, বিমানে HEPA ফিল্টার ব্যবহারের ফলে বায়ুর মান ভালো থাকবে এবং ভাইরাস সংক্রমণের হার অন্যান্য যেকোন পরিবহন ব্যবস্থার চেয়ে কম থাকবে। তবে বিমানে একই সারিতে বসা যাত্রীদের মধ্যে তাদের নিকটবর্তী কোন সংক্রমিত ব্যক্তির দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। এই ঝুঁকি তিন সারির মধ্যেকার যাত্রীদেরও আছে, তবে তা তুলনায় কম।
তিনি যাত্রীদেরকে মাস্ক পরার এবং জীবাণুনাশক দিয়ে আসন ও সিটবেল্ট মুছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরো পরামর্শ দিয়েছেন একই সারির যাত্রীদের মধ্যে খাবার ও পানীয় গ্রহণের সময় আলাদা করা যাতে তারা একসাথে তাদের মাস্ক না সরিয়ে ফেলে।
