
মধ্য আমেরিকার অর্থনীতিতে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকারের বিষয়।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ২৭ জানুয়ারি হন্ডুরাস সফরের সময় বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের সিইও এবং কর্পোরেশনগুলোকে আহ্বান জানিয়ে আসছি যারা কিনা এ অঞ্চলকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাদের প্রতিশ্রুতি ১শ২০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।’
অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে উত্তর মধ্য আমেরিকা, বিশেষ করে গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদরে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করা। স্বদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা গেলে তা এই দেশগুলোর নাগরিকদের নিজ দেশে থেকেই কর্মসংস্থান এবং সমৃদ্ধির সুযোগ খুঁজতে সাহায্য করতে পারে।

কামালা হ্যারিসের ‘কল টু অ্যাকশন’ এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই এ অঞ্চলে বিনিয়োগ করেছে। আরও বিনিয়োগ আসা অব্যাহত রয়েছে।
হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্যে জানুয়ারি মাসে এ অঞ্চল সফর করেছিলেন হ্যারিস। ওই সফরকালে গত ২৭শে জানুয়ারি তিনি বলেন, ‘আমরা যখন মধ্য আমেরিকার দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সহায়তার দিকে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলি, তার মধ্যে অনেকটাই থাকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সিইও এবং আমাদের বেসরকারি খাত অর্থাৎ কর্পোরেশনগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার কথা।’
হোয়াইট হাউস এর তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের মে মাস থেকে:
- মাইক্রোসফ্ট ১১ লাখ মানুষের কাছে ডিজিটাল অ্যাক্সেস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পরিবেশ অনুকূল অফ গ্রিড বিদ্যুৎ এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সুযোগ পৌঁছে দিতে শুরু করেছে। কোম্পানিটি একলাখের বেশি কর্মীকে প্রযুক্তিগত এবং ডিজিটাল দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
- নেসপ্রেসো হন্ডুরাস এবং এল সালভাদর থেকে প্রথমবারের মতো কফি সংগ্রহ করার কথা ঘোষণা করেছে এবং গুয়াতেমালা থেকে সংগ্রহের আওতা বাড়িয়েছে। এছাড়া পরবর্তী কফি তোলার মৌসুমের জন্য এ অঞ্চলে কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। নেসপ্রেসো এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে ২০২৫ সালের মধ্যে কফি কেনা, দামের প্রিমিয়াম এবং কারিগরি সহায়তার জন্য ১৫ কোটি ডলার ব্যয় করবে।
- মাস্টারকার্ড গুয়াতেমালার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি ‘ডিজিটাল দেশ’ অংশীদারত্ব বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর মাধ্যমে এল সালভাদর, গুয়াতেমালা এবং হন্ডুরাস জুড়ে ৫০ লাখ মানুষকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক অর্থনীতির কাঠামোয় আনা হবে। এছাড়া ১০ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসাকে অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থায় যুক্ত করা হবে।
একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টে ভাইসে প্রেসিডেন্ট হ্যারিস গোটা মধ্য আমেরিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ শ জনের বেশি ব্যবসায়িক, সরকারি এবং সুশীল সমাজের নেতার সমাবেশে তার ‘কল টু অ্যাকশনে’ সাড়া দেওয়ার জন্য উৎসাহ দেন।
পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘ আমরা বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা দূর, অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি ও এ অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে সহায়তা করতে একত্রে কাজ করতে পারি।’