প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কার্যদিবসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার প্রশাসনের সর্বাধিক জরুরি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত নীতির আলোকে ১৭টি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের অধীনে আইনপ্রণয়ন বিভাগ (কংগ্রেস) আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাখে। প্রণীত আইন বাস্তবায়ন ও কার্যকর করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলো নির্বাহী বিভাগ।
কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট তার স্বীয় ক্ষমতা বলে (নির্বাহী ক্ষমতা) নির্বাহী আদেশ জারি করার মাধ্যমে একজন আইন প্রণেতা রূপে কাজ করতে পারেন, যদিও কংগ্রেস সাধারণত এই কর্তৃত্বকে প্রেসিডেন্টের চেয়ে আরো সংকীর্ণভাবে ব্যাখ্যা করে থাকে।
নির্বাহী আদেশ জারি করার উদ্দেশ্য হলো নির্বাহী বিভাগকে তাদের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা এবং তাদেরকে আইন প্রয়োগের ক্ষমতা দেয়া। প্রেসিডেন্ট সাংবিধানিক আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাহী আদেশ জারি করে থাকেন কিংবা কংগ্রেস কোন একটি নির্দিষ্ট আইনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাহী আদেশ জারির ক্ষমতা অর্পন করে থাকে।
কংগ্রেস দ্বারা প্রণীত ও প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরিত আইনের মতোই নির্বাহী আদেশগুলো আদালত পর্যালোচনা করতে পারে এবং বাতিল বা প্রয়োগ-অযোগ্য বলে রায় দিতে পারে। এগুলো আবার নতুন আইন কিংবা নতুন নির্বাহী আদেশ দ্বারা বাতিলও করা যেতে পারে।
কোন কার্যক্রম জরুরি ভিত্তিতে করার প্রয়োজনে নির্বাহী আদেশ উপযোগী, এবং আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বাধিক বিখ্যাত নির্বাহী আদেশটি হলো প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ১৮৬৩ সালের মুক্তির ঘোষণা (Emancipation Proclamation)।
এই নিবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর।